web-design-blog

ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং কতটা যুক্তি নির্ভর?

  • Post author:

 

ওয়েব ডিজাইন এবং ব্লগিং বর্তমান সময়ের টপ মোস্ট অনলাইন আয়ের সেক্টর। তবে ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং কতটা যুক্তি নির্ভর মূলত আজকে তাই আমাদের আলোচনার বিষয়।

আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন এবং ব্লগিং এর বিষয়ে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য আহরণ করতে পারবেন।

আর সেই সাথে ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিংকে নিয়ে জীবনের পথচলা শুরু করতে পারেন এই প্রত্যাশা সামনে নিয়ে শুরু করছি আজকের টিউন।

একজন বুদ্ধিমান মানুষ কিছু করার আগে কয়েক বার কিংবা কয়েক শত বার ভাবে। সুতরাং ওয়েব ডিজাইন শিখবেন নাকি ব্লগিং সেটার জন্য দুটো বিষয়কে প্রথমে ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেন।

ডিজাইনের কারিগর হবেন নাকি ব্লগের মাস্টার সেটা আগে নির্বাচন করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত রিচার্স করা।

আশা করি পোস্টটি ভালভাবে পড়ার মাধ্যমে আপনার মনের মধ্যে থাকা সংশয় ওয়েব ডিজাইন নাকি ব্লগিং এটি দূর হয়ে যাবে। 

তো পুরো বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য আমাদের অবশ্যই ওয়েব ডিজাইন এবং ব্লগিং বিষয়ে বিস্তর ধারণা থাকা দরকার।

তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নিই যে ওয়েব ডিজাইন আসলে কি?

 

 

ওয়েব ডিজাইন (Web Design)

 

 

web-design

 

 

ওয়েবসাইটের লেআউট গঠনের এক অনন্য প্রক্রিয়া হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। একটি ওয়েবসাইটের যাবতীয় কনটেন্ট কোন উপায়ে প্রদর্শণ করানো হবে তার বিস্তারিত রূপ ব্যাখ্যা করাটাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

ধরুন একটি দালান তৈরী করবেন। তার জন্য প্রথমে যে নকশা তৈরী করা হয় তাই ডিজাইনের অংশ। 

বর্তমান মার্কেটপ্লেসে এর রয়েছে প্রচুর চাহিদা। দিনের পর দিন বেড়েই চলছে ওয়েব ডিজাইনারের সংখ্যা।

আর অদূর ভবিষ্যতে যে আরো বাড়বে তাতে কোন প্রকার সন্দেহই নাই।

এখানে বলা দরকার যে, যারা ওয়েব ডিজাইন করে থাকেন কিংবা এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদেরকে ওয়েব ডিজাইনার বলা হয়।

ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আহামরি কিছু করা লাগে না। আপনি অনলাইন থেকে শিখতে পারেন অথবা অফলাইনে কোন কোর্স ক্রয় করেও শিখতে পারেন।

গুগলকে সঙ্গী বানাতে পারেন। অথবা ইউটিউব  থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টার মধ্য দিয়ে হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস (CSS) শিখতে হবে। সেই সাথে জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) শিখলে আপনি জাভাস্ক্রিপ্ট এলিমেন্ট সম্পর্কে এখান থেকে শিখতে পারেন।

একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন।

 

 

ব্লগিং (Blogging)

 

blogging

 

এবার আসি ব্লগিং এ। অনেকের কাছে ব্লগিং খুব জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের সোর্স হল এটি দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যান হবার কারনে অনেকেই এটি পছন্দ করেন না।

আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমেও আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কেননা, অনলাইনের জগতে ব্রগিং একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

ব্লগ লিখে আয় করছেন অনেকেই। এ আয়ের নির্ধারিত কোন মাত্রা নেই।

কেউ কয়েক হাজার কেউ কয়েক লক্ষ ডলার। এটা নির্ভর করছে একজন কতটা সময় দিয়ে ইউনিক কনটেন্ট তৈরী করছে তার উপর।

ব্লগিং এর মাধ্যমে সফলতা পেতে হলে কম করে হলেও আপনাকে ১ বছর সময় দিতে হবে। অন্যথায় আপনি কখনই এতে সফলতা আশা করতে পারেন না।

 

ব্লগের মাধ্যমে নিজের কনটেন্টকে পাবলিকের সামনে উপস্থাপন করার যে কৌশল তাই হচ্ছে ব্লগিং। আর ব্লগের মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে অনেক বেশি।

অনেকেই রয়েছেন যারা ব্লগিংকে ফুল টাইম পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

আবার অনেকেই পার্ট টাইম হিসেবে ব্লগিং করে থাকেন। যে যেভাবেই করুক না কেন ব্লগিং দীর্ঘমেয়াদী এবং অনেক ভালমানের একটি পেশা হিসেবে আমি মনে করি।

একটি ওয়েবসাইট তৈরীর পর তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কনটেন্ট হলে তাতে বিভিন্ন উপায়ে আপনি আয় করতে পারেন।

তাহলে?

আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন তৈরী হয়েছে যে,

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

 

এর মাধ্যমে আপনিও কি সফলতা পেতে চান?

তবে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে সামনে এগিয়ে চলতে হবে।

তবে,

এক পর্যায়ে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন।

কিভাবে?

এবার চলুন জেনে নিব যে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং আসলে কতটা যুক্তি স্বাপেক্ষ?

 

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইট

 

ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং

ওয়েব ডিজাইন বলেন আর ব্লগিং যাই বলেন না কেন অত্যন্ত দামী প্রফেশন হিসেবে এ দুটির তুলনা হয় না।

বর্তমান সময় মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা আকাশচুম্বী।

ওয়েব ডিজাইন আপনার জীবন গঠনের এক অনন্য উপায় হতে পারে। কি ভাবে? চলুন একটু বিস্তারিত করে বোঝার চেষ্টা করি।

অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ঘাটুন। দেখতে পাবেন কি ধরণের পরিবর্তন চোখে পড়ছে। ওয়েব ডিজাইন শিখে অনলাইন থেকে আয় করছে এমন শত শত নয় হাজার হাজার পাবলিকের দেখা মিলবে।

যদি অন্য কেউ পারে তবে আপনারও পারা উচিত!

ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন প্রচুর সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইন এ প্রতিক্ষেত্রে আপনি ওয়েব ডিজাইনের হাজারো কাজ পেয়ে যাবেন।

সো প্রফেশন হিসেবে এর তুলনা করা মুশকিল। আবার যারা দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের মধ্যে রয়েছেন তাদের জন্য একটি আদর্শ পেশা হচ্ছে ব্লগিং।

আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিংকে চয়েজ করেন তবে আমি বলব আপনি যথার্থ চয়েজ করেছেন।

এর যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। ফাইভার, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্ক থেকে শুরু করে অনলাইনের প্রায় সকল মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা অবর্ণনীয়।

আবার ব্লগিং করে অনেকেই হাজার হাজার ডলার প্রতি মাসে আয় করছেন অনায়াসেই। এজন্য তাদের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে ধৈর্য।

বস্তুত,

অনলাইনের যে সেক্টরেই আপনি প্রবেশ করেন না কেন আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ধৈর্য না থাকলে কখনই সফল হতে পারবেন না।

একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ব্লগার সমাজে যথেষ্ট কদর পেয়ে থাকেন।

উন্নত বিশ্ব থেকে শুরু করে বর্তমান সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে এই দুই পেশার সাথে মানুষ যুক্ত হচ্ছে।

 

 

আমি কি পারবো?

 

what

 

অনেকেই মনের মধ্যে এমন সংশয় এনে থাকেন, আমি কি পারবো ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং করে নিজেকে গড়ে তুলতে।

হ্যাঁ এমন প্রশ্ন মনে হওয়াটায় স্বাভাবিক। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। মানুষ যদি পুরো ইচ্ছেশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়  করে তবে খুব কঠিন বিষয়ও তার জন্য সহজ হয়ে যায়।

ওয়েব ডিজাইন মার্কেটপ্লেস

এমনটা বহু মানুষের জীবনে লক্ষ করা যায়। তাদের অবস্থান ছিল একেবারে জিরো। পুরো প্রচেষ্টা ইচ্ছাশক্তি আর ধৈর্যসহ  এগিয়ে যাওয়ার ফলে তাঁরা আজ স্বরণীয়।

আমার কথা হচ্ছে অন্য একজন একটি কাজ পারে, তাহলে আমি পারবো না কেন? তার কি দুটো হাতের বেশি একটা হাত আছে?

 

কিভাবে সফল ব্লগার হওয়া যায়?

 

নাকি তার মাথা দুটো? আর তা না হলে তার বুদ্ধির থলে আপনার তুলায় দ্বিগুন। অন্য একজন ওয়েব ডিজাইনার হল কি করে? ব্লগিং এই বা সফল ক্যারিয়ার গড়ল কিভাবে?

হ্যাঁ পর্যাপ্ত পরিমাণ ধৈর্য, অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে আপনিও হতে পারেন একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ব্লগার।

আপনাকে সবার আগে লেগে থাকার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। আজ একটি বিষয় আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেন।

আগামীকাল নতুন আর একটা। এরকম করতে করতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে আপনি অনেক কিছুই আয়ত্ত্বে আনতে পেরেছেন।

মনে রাখবেন শুরুতেই কেউ বড় হয় না। হাঁটা শেখার আগে কেউ দৌড়াতে শেখে না। আপনি প্রথমে হাঁটার চেষ্টা করেন।

ধীরে ধীরে আপনি বুঝে যাবেন যে কিভাবে দৌড় দিতে হয়। ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং করার জন্য আপনাকে আহামরি কিছু করতে হবে না।

প্রতিদিন একটু একটু করে তথ্য আহরণ করতে থাকুন। সেই সাথে সফল ফ্রিল্যান্সারদের জীবন ঘাটতে থাকুন। তাদের ব্লগ নিয়মিত ভিজিট করুন।

তাহলে আসা করা যায় আপনি সফল হতে পারবেন।

বলতে গেলে,

সময়ের সেরা প্রফেশন হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং। একজন ওয়েব ডিজাইনারের ঘন্টা প্রতি রেট সর্বনিম্ন ১০ ডলার থেকে শুরু করে ২৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

ব্যক্তিগত অর্থে আমি নিজেও একজন ওয়েব ডিজাইনার এবং ডিভেলপার।

আর সেই সাথে ব্লগিং করতে খুবই ভাল লাগে। নিজের জানাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার উদ্দেশ্যে এই ব্লগটি (নিত্যটিউন) প্রতিষ্ঠা করেছি।

এখানে নিয়মিত আপনিও লিখতে পারেন। খুব শীঘ্রই আমরা লেখার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেব ইনশাআল্লাহ্।

তো বন্ধুরা,

আপনাদের আগামীর পথচলা ওয়েব ডিজাইন কিংবা ব্লগিং এ শুরু হউক এই প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।

দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন।

জীবন, তথ্য ও প্রযুক্তির নিত্য নতুন খবর জানতে চোখ রাখুন নিত্য টিউন ওয়েবসাইটে।

আল্লাহ্ হাফেজ।

 

Author

This Post Has 2 Comments

  1. লাবিব

    ভাই ওয়েব ডিজাইন সম্পূর্ণ শিখতে কতটা সময় লাগতে পারে?

    1. admin

      ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। ভাইজান শেখাটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার উপর। তবে প্রতিদিন ২ ঘন্ট করে সময় দিলে মোটামুটি ৩ মাসেই একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশা করছি।

Leave a Reply