ফটোকপি মেশিন কেনার আগে জেনে নিন (গোপন ট্রিকস)

 

একটি ফটোকপি মেশিন যেন আমাদের দৈন্দদিন জীবনের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ নিত্য দিনেই প্রয়োজন পড়ে একটি ফটোকপি মেশিনের। আজকে আমরা ফটোকপি মেশিন কেনার আগে জরুরী কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো জানার পর ফটোকপি মেশিন কিনলে আপনি অত্যন্ত লাভবান হবেন।

 

ফটোকপি মেশিন কি?

ফটোকপি মেশিন ক্রয় করতে চাচ্ছেন? যদিও ফটোকপি মেশিন সম্পর্কে ধারণা নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়ায় হয়তো মুশকিল।

শব্দটি ইংরেজী ব্যবহার করতে করতে আমরা এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছি যেন এটি আমাদের নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ।

এটি এমন একটি মেশিন যা কোন ডকুমেন্টের হুবহু নকল তৈরী করতে পারে। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো নকল করা এর পক্ষে খুবই সহজ একটি কাজ।

একটি কপি মেশিন কিনতে চাচ্ছেন? কোন ব্র্যান্ডের কিনলে ভাল হবে বুঝতে পারছেন না তো? চলুন পড়তে থাকুন আমরা দেখছি যে কিভাবে একটি ভাল মানের ফটোকপি মেশিন কনতে হয়?

প্রথমে ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন। নিচে কয়েকটি ব্র্যান্ড দেয়া হল যেগুলো সচরাচর খুব বেশি জনপ্রিয়। আপনি এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি ব্র্যান্ড নির্বাচন করতে পারেন।

এখন আমরা দেখবো এমন কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এর কিছু মডেল যেগুলো নিঃসন্দেহে অনেক ভাল সার্ভিস দিয়ে থাকে।

নজরে আনুন,

প্রথমে ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন।

আমরা এখন দেখবো কেন তোশিবা ব্র্যান্ড সেরা?

তোশিবা ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার মেশিনগুলো বর্তমান সময় খুবই জনপ্রিয়। তার জন্য বিশেষ কিছু কারনও অবশ্য রয়েছে।

আমাদের দেশে জাপানি পণ্য সচরাচর বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই তোশিবা ব্র্যান্ডটিও কিন্তু জাপানি। মেশিনগুলো খুবই উন্নতমানের এবং দামের দিক দিয়েও সাশ্রয়ী।

এর রয়েছে উন্নত সব ফিচার। প্রিন্টিং ফিচারের পাশাপাশি অনেক উন্নত কোয়ালিটির কপি করা সম্ভব এই মেশিনগুলোর সাহায্যে।

ডুপ্লেক্স, অটো-ডুপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ফিচার করেছে একে উন্নত। একটি ফটোকপিয়ার কেনার ক্ষেত্রে আগে,

ফটোকপি মেশিনের দামের সাথে সাথে বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যালোচনা করে একটি কপি মেশিন কিনুন। এবার আমরা দেখবো,

 

আপনি পছন্দ করতে পারেন,

আইফোন কেনার আগে জেনে নিন

 

ফটোকপি মেশিনের দাম ২০২২

ফটোকপি মেশিন price – বাংলাদেশ বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন দেখতে পাবেন। মডেল ভেদে এসব মেশিনের দাম বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।

একটি সম্ভাব্য দামের তালিকা নিচে দেয়া হলো।

ব্র্যান্ড মূল্য
তোশিবা ৩৭,০০০-৫,৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে
ক্যানন ৬০,০০০-৩,৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত
ব্রাদার ৫৫,০০০-৪,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত
শার্প সর্বনিম্ন ৫৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।
রিকহ্ সর্বনিম্ন ৫৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।

 

এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরণের ফটোকপি মেশিন আপনি দেখে থাকবেন। মনে রাখবেন দাম বেশি হলেই যে পণ্য আপনার যাবতীয় চাহিদা পূরণ করবে এমন কিন্তু নয়।

অনেক সময় অল্প বাজেটের মধ্যেই আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি পেয়ে যাবেন।

এখন চলুন তোশিবা ব্র্যান্ডের কিছু ফটোকপি মেশিন সম্পর্কে জানা যাক,

 

তোশিবা (Toshiba)

একটি ভাল মানের ফটোকপি মেশিন কিনতে চাচ্ছেন তো? তাহলে তোশিবা ব্র্যান্ডের নিম্নোক্ত মডেল পছন্দ করতে পারেন।

ফটোকপি মেশিনের ছবি দেখুন…

 

ফটোকপি মেশিন কিনতে চাই? কোন ব্র্যান্ডের কপি মেশিন ভাল হবে?

 

তোশিবা ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা সত্যিই অনেক বেশি। রিভিউ চেক করেন। বুঝতে পারবেন।

তোশিবার ‘‘ই-স্টুডিও 2523 এ’’ মডেলের পুরো বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো

কপির ধরণ ব্ল্যাক কপিয়ার
উষ্ণতার সময় সম্ভাব্য ২০ সেকেন্ড
প্রথম কপি প্রিন্টের সময় ৬.৪ সেকেন্ড
প্রতি মাসে কপি লিমিট ৫০,০০০ শিট
পেপার সাইজ ম্যাক্সিমাম A3
পেপার ট্রে ধারণ ক্ষমতা 250 শিট ড্রয়ার
সাদাকালো কপি স্পিড 25 পি.পি.এম
সাদাকালো রেজ্যুলেশন 400 x 600 ডিপিআই
প্রিন্টের ফিচার ইউএসবি (USB)
সংযোগ ইউএসবি (USB 2.0)
কার্টিজ ধারণ ক্ষমতা 12000 পেজ
জুম ক্ষমতা (25-400)%
ওজন 25.5 কেজি
স্ক্যান বৈশিষ্ট্য সাদাকালো 25 পি.পি.এম

তোশিবার জনপ্রিয় এই মডেলটির মূল্য মাত্র ৩৭,000 টাকা।

 

আমরা জানতে চলেছি,

Photocopy Machine প্রাইস ইন বাংলাদেশ। নিত্যটিউনের সাথেই থাকুন…

 

তোশিবার ‘‘ই-স্টুডিও 2523 এডি’’ মডেলের পুরো বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো

কপির ধরণ ব্ল্যাক কপিয়ার
উষ্ণতার সময় সম্ভাব্য ২০ সেকেন্ড
প্রথম কপি প্রিন্টের সময় ৬.৪ সেকেন্ড
প্রতি মাসে কপি লিমিট ৫০,০০০ শিট
পেপার সাইজ ম্যাক্সিমাম A3
পেপার ট্রে ধারণ ক্ষমতা 250 শিট ড্রয়ার
সাদাকালো কপি স্পিড 25 পি.পি.এম
সাদাকালো রেজ্যুলেশন 400 x 600 ডিপিআই
প্রিন্টের ফিচার ইউএসবি (USB)
সংযোগ ইউএসবি (USB 2.0)
কার্টিজ ধারণ ক্ষমতা 12000 পেজ
জুম ক্ষমতা (25-400)%
ওজন 26 কেজি
স্ক্যান বৈশিষ্ট্য সাদাকালো 25 পি.পি.এম

তোশিবার জনপ্রিয় এই মডেলটি আপনি মাত্র ৪৭,000 টাকায় পেয়ে যাবেন।

 

তোশিবার ‘‘ই-স্টুডিও 2823 এএম’’ মডেলের পুরো বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো

কপির ধরণ ব্ল্যাক কপিয়ার
উষ্ণতার সময় সম্ভাব্য ১৫ সেকেন্ড
প্রথম কপি প্রিন্টের সময় ৬.৪ সেকেন্ড (A4 Page), ৬.৫ সেকেন্ড (Letter Page)
প্রতি মাসে কপি লিমিট ৫০,০০০ শিট
পেপার সাইজ A5-R to A3
পেপার ট্রে ধারণ ক্ষমতা 250 শিট ড্রয়ার
সাদাকালো কপি স্পিড 23 পি.পি.এম
সাদাকালো রেজ্যুলেশন 2400 x 600 ডিপিআই
প্রিন্টের ফিচার ইউএসবি (USB)
সংযোগ ইউএসবি (USB 2.0)
কার্টিজ ধারণ ক্ষমতা 12000 পেজ
জুম ক্ষমতা (25-400)%
ওজন 26 কেজি
স্ক্যান বৈশিষ্ট্য সাদাকালো 25 পি.পি.এম

তোশিবার জনপ্রিয় এই মডেলটির বাজার মূল্য মাত্র ৭০,০০০ টাকা।

 

আমরা কতটাই জানি ফটোকপি মেশিনের??

 

ফটোকপি মেশিন কিভাবে কাজ করে?

সুন্দর, যথার্থ একটি প্রশ্ন করেছেন। ফটোকপি মেশিন কেনার আগে এটি কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করে জানলে পরবর্তীতে উপকার পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করি।

ফটোকপি মেশিন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করে তা জানার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফটোকপি মেশিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

 

অল্প বাজেটের ফটোকপি মেশিন

 

মূলত একটি ফটোকপি মেশিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে।

  • স্ক্যানার
  • প্রিন্টার এবং
  • কন্ট্রোল প্যানেল

একটি ফটোকপি মেশিন যে ব্র্যান্ড্রেরই হউক না কেন নিচের প্রক্রিয়াতেই সাধারণত কাজ করে থাকে।

স্ক্যানার অংশ উজ্জল আলোকে কাজে লাগিয়ে থাকে। অতপর আমরা যে ডকুমেন্ট স্ক্যান করার জন্য দেই তাকে গ্রহন করে।

ডকুমেন্ট স্ক্যান করে মাদারবোর্ডে পাঠানোই হচ্ছে স্ক্যানারের কাজ। তবে বর্তমানের ফটোকপি মেশিন দিয়ে আমরা কম্পিউটারে সাহায্যে স্ক্যান করতে পারি।

এরপর প্রিন্টার বাবাজির খেলা। এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশের বিস্তারিত কাজসহ বর্ণনা করা হল।

ট্রেঃ প্রিন্টারের ট্রে দেখেছেন না। এটি কনটেইনারের মত। কি হয় এর দ্বারা? এই ট্রে এর মাঝে আমরা পেজকে রাখি প্রিন্ট করার জন্য।

একটি ফটোকপি মেশিনে অনেকগুলো ড্রয়ার থাকে। এগুলোতে আমরা পেইজ রাখি। 

ড্রামঃ প্রিন্টারের কার্টিজ দেখেছেন নিশ্চয়? এই ড্রাম ঠিক সেই রকমই একটি উপাদান। এর মধ্যে ফটোকপি মেশিনের কালি রাখা হয়। 

প্রিন্টিং এর জন্য কালি সরবরাহ করায় হচ্ছে এর কাজ। 

হিট ইউনিটঃ প্রিন্টিং এর জন্য দেয়া কাগজে পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপ সরবরাহ করা হিট ইউনিটের কাজ। 

আউটপুটঃ প্রিন্টিং এর পর এখানেই আপনার প্রিন্টের আউটপুট দেখতে পাবেন।

 

তো বন্ধুরা বাজারে যেহেতু হরেক রকমের ফটোকপি মেশিন পাওয়া যায় তাই আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে, বাজেট সীমার দিকে লক্ষ রেখে

আর সেই সাথে,

কি পরিমাণ সার্ভিস চান এসব বিষয়ের উপর বিবেচনা করে বাজার থেকে একটি ভাল ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন ক্রয় করুন।

প্রথমে দু-টো টাকা বেশি লাগলেও পরবর্তীতে সার্ভিস যখন ভাল পাবেন তখন টাকার কথা হয়তো মনেই থাকবে না।

কিন্তু অল্প টাকা দিয়ে কোন মেশিন নেবার পর যদি বারবার সমস্যা করে তবে আমি নিশ্চিত আপনি বারবার টাকার কথায় স্মরণ করবেন। 

তাই বুদ্ধিমান মানুষ কিছু করার আগে কয়েকবার প্রয়োজনে কয়েক হাজারবার ভাবে। 

 

আপনার জন্য রিকমেন্ডেড পোস্ট,

আইফোন কেনার আগে জেনে নিন জরুরী কিছু বিষয়

 

Author

Check Also

পেনড্রাইভ বুটেবল

পেনড্রাইভ বুটেবল করুন চোখের পলকেই!

একটি পেনড্রাইভ বুটেবল করা বর্তমান সময় খুবই সহজ একটি কাজ। গতানুগতিক একটি ডিভিডি ড্রাইভকে ব্যবহার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *