business-theme

বিজনেস থিম – ওয়ার্ডপ্রেসের সেরা বিজনেস থিম কোনগুলো?

  • Post author:

ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সেরা বিজনেস থিম নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমান সময়ের সেরা সিএমএস (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)।

একটি ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য বহুল ব্যবহৃত সিএমএস হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসের জুড়ি মেলা সত্যিই দুঃসাধ্য।WordPress এর কোর বিষয় থিম এবং প্লাগিন।

আজকে আমরা ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য টপ বিজনেস থিম নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমে একটু জানা যাক থিম আসলে কি?

ওয়ার্ডপ্রেস থিম

থিম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবয়ব। আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করি তখন সেটি কেমন দেখাবে,

কোন অংশে হেডার, কোথায় মেন্যু আর কোথায় বা তার ফুটার থাকবে, দেখতে কেমন হবে এসব বিষয় নির্ধারণ করে থিম।

অপরদিকে ওয়েবসাইটকে ইন্টারঅ্যাক্টিভ করার জন্য কোন অংশ কিভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণের জন্য আমরা প্লাগিন ব্যবহার করে থাকি।

আরো পড়ুনঃ CMS হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস কতটা জনপ্রিয় 

তাহলে চলুন বেশি কথা না বলে মূল আলোচনায় ফিরে আসি। ওয়ার্ডপ্রেসের সেরা বিজনেস থিম। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় কয়েকটি থিম সম্পর্কে।

তো বন্ধুরা সাথেই থাকুন। বিজনেস থিম বলতে আসলে কি বুঝায়? বিজনেস বলতে ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু বোঝানো হয়ে থাকে।

বিজনেস থিম বলতে একটি ওয়েবসাইটকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যখন দাড় করানো হয়ে থাকে তখন তাকে বোঝানো হয়।

অনেক সময় ই-কমার্স থিম এবং বিজনেস থিমকে এক করে দেখানো হয়। যদিও এ দুটির মাঝে অনেক ব্যবধান রয়েছে। 

অ্যাভাডা থিম (Avada Theme)

অ্যাভাডা থিম একটি মাল্টিপারপাস থিম। তার মানে আপনি এই থিম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট বলতে গেলে প্রায় সব ধরণের ওয়েবসাইটই বিল্ড আপ করতে পারবেন।

প্রচুর ফাংশনালিটির সাথে অ্যাভাডা অনন্য সব বৈশিষ্ট্যের জন্য এখনও অসংখ্য মানুষের মন কেড়েছে।

avada-theme

আপনি যদি একটি বিজনেস থিম খুঁজে থাকেন তবে অ্যাভাডা আপনার জন্য সেরা পছন্দের একটি হতে পারে।

তো বন্ধুরা আপনি যদি একটি দ্রুতগতির থিম খুঁজে থাকেন তবে অ্যাভাডা আপনার জন্য সেরা পছন্দের একটি হতে পারে।

যেহেতু এভাডা একটি মাল্টিপারপাস থিম আপনি এর সাহায্যে যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট বিল্ড করতে পারেন অনায়াসেই।

সো দ্রতু থিমটি ডাউনলোড করুন আর শুরু করে দিন আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটের কাজ।

থিমটির বর্তমান মূল্য প্রায় 59 ডলার। থিম ফিউশান (Theme Fusion) নামের কোম্পানি এই থিমটি ডেভেলপ করে বাজারে আনেন।

ডিভি থিম (Divi Theme)

ডিভি এলিগেন্ট কোম্পানির একটি সর্বাধিক জনপ্রিয় মাল্টিপারপাস থিম। এর সাহায্যে আপনি যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট বিল্ড আপ করতে পারেন।

এলিগেন্ট কোম্পানির সবথেকে জনপ্রিয় থিম এটি। এর বিশেষত্ব হচ্ছে এই থিমটি এলিমেন্টরকে পুরোপুরি সাপোর্ট করে।

divi-theme

 

সেই সাথে অন্যান্য পেইজ বিল্ডার গুলোকেও পুরো সমর্থন করে থাকে। এই থিমের সাহায্যে  যে কোন ধরণের বিজনেস ওয়েবসাইট বিল্ড করতে পারেন।

সুতরাং বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য ডিভি একটি আদর্শ থিম।রেস্পন্সিভ ওয়েবসািইট তৈরী করার জন্য ডিভি সত্যিই অনন্য বৈশিষ্ট্যের একটি থিম। 

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিভেলপমেন্ট জাদুকরী টিপস 

ছোট বড় সকল ডিভাইসে সমান পারফর্মেন্স প্রদর্শণ করতে ডিভি থিম ব্যবহার করতে পারেন। মজার বিষয় হচ্ছে বিয়ে করলে মজার জন্য বউয়ের সাথে শালী ফ্রি।

অর্থাৎ ডিভি থিম নিলে এই থিমের পাশাপাশি একই সাথে আপনি ডিভি পেইজ বিল্ডার নামক প্লাগিনও পেয়ে যাবেন 😛

এস্ট্রা থিম (Astra Theme)

আপনি কি আপনার বিজনেসের জন্য একটি ভালমানের থিম খুঁজছেন? আপনার বিজনেসকে প্রোফেশনাল পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য চেষ্টা করছেন তবে এস্ট্রা হতে পারে আপনার সেরা পঁছন্দের একটি।

speed optimization theme হিসেবে এস্ট্রা থিমের কদর অনেক বেশি। সবচেয়ে পাতলা এবং এসইও ফ্রেন্ডলি থিম যদি খুঁজে পেতে চান তবে একে চয়েজ করুন।

astra-theme

এর মাধ্যমে ব্লগ, পোর্টফোলিও, বিজনেস এবং ইকমার্সসহ প্রায় সকল ধরনের ওয়েবসাইটই বিল্ড করতে পারেন। পেজের লোডিং স্পিড বেশি না হলে আপনার সাইটটি কখনই Google Search এ আসবে না।

একটি প্রোফেশনাল মানের থিম হিসেবে এস্ট্রা খুবই জনপ্রিয় থিম। এর মাধ্যমে রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট ইজিলি বিল্ড করতে পারেন। তাই ওয়েবসাইটকে প্রচুর ফাস্ট হতে হয়।

আর এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটকে ফাস্ট করার জন্য আপনি এস্ট্রা থিম ব্যবহার করতে পারেন। এই থিমকে আপনি ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারেন। মানে এটি Full Customizable থিম।

ওশিয়ান থিম (Ocean WP Theme)

একটি বিজনেস থিম যা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য কোন পে করতে হবে না। সর্বোচ্চ মানের ফিচার সমৃদ্ধ থিম হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার।

এই থিমের মাধ্যমে আপনি যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন। ওশন ডাব্লিউ পি থিমটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হবার কারণ এর উন্নত এবং অনেক বেশি পরিমাণ ফিচার।

ocean-theme

আপনি অনেক কিছু নিজের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন নিমিষেই। থিমটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

সহজেই একটি প্রফেশনাল মানের বিজনেস ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। 

কেন আপনি একটি ভালোমানের বিজনেস থিম খুঁজবেন?

একটি ভালমানের ওয়েবসাইট তৈরীর মূল শর্ত হচ্ছে একটি ভাল থিম চয়েজ করা। আপনি যদি একটি উন্নত থিম খুঁজে পান যেখানে যথেষ্ট পরিমাণ কাস্টমাইজেবল সুবিধা থাকবে।

তবে খুব ভাল মানের একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। আশা করছি, বিষয়টি বুঝতে পারছেন। আগে দর্শণ, পরে কর্ষণ।

নিচে দেখুন কেন একটি ভালমানের থিম খুঁজতে হবে-

  • এসইও র‌্যাংকিং পেতে
  • ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবয়ব অনন্য করতে
  • দ্রুত ওযেবসাইট লোডিং এর জন্য
  • ক্লিন কোডিং করা থাকে বলে
  • নিয়মিত আপডেট পাওয়া যায় বলে
  • কাস্টমার সাপোর্ট অনেক ভাল সেই জন্য

সুতরাং একটি ওয়েবসাইট fast loading এর জন্য আমাদের অবশ্যই একটি ভালমানের থিম খুঁজে নিতে হবে। অনলাইন জগতে থিমের কোন অভাব নেই।

অজস্র থিমের মধ্যে সেরা থিমটি চয়েজ করা সত্যিই দুঃসাধ্য। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে অধিক জনপ্রিয় থিম কোনটি?

কেননা একটি জনপ্রিয় থিম কখনো এমনি এমনি জনপ্রিয় হয় না। অনেক আকর্ষণীয় এবং প্রচুর ফাংশনালিটির কারনে তা জনপ্রিয় হয়।

সুতরাং একটি সফল ওয়েবসাইট বিল্ড করার জন্য আমাদের একটি ভাল মানের থিম (Business Theme) নির্বাচন করতে হবে।

দ্রুত ওয়েবসাইট লোডিং না হলে আপনি অসংখ্য ভিজিটর হারাবেন এতে কোন সন্দেহই নেই।  এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমে যাবে।

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাকআপ প্লাগিন (WordPress Backup Plugins) 

সুতরাং সফল হবার জন্য ভাল থিম নির্বাচন পূর্বশর্ত। কাস্টমার সাপোর্ট এবং দ্রুত লোডিং এর জন্য আপনাকে একটি ভাল মানের থিম চয়েজ করতেই হবে। 

আমাদের শেষ কথা

একটি কথা না বললেই নয়, আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট তৈরীর স্বপ্ন দেখি কিংবা ওয়েবসাইট তৈরী করি। তখন আমাদের কিন্তু মূল টার্গেটই থাকে রিডারকে কাস্টমার বানানোর।

তো তার জন্য কিন্তু আমাদের খুবই ভাল মানের এট্রাক্টিভ একটি থিম নির্বাচন করা দরকার। আশা করছি, বিষয়টি বুঝতে পারছেন।

আপনি যদি এই থিমগুলোর বাহিরে নতুন বিজনেস থিমের সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।

আল্লাহ্ হাফেজ।

Author

This Post Has One Comment

  1. admin

    অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য প্রকাশের জন্য।

Leave a Reply