লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন কিভাবে করবেন?

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় এটা আমরা অনেকেই জানি না। আপনি কি জানেন কিভাবে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়? যদি জেনে থাকেন তাহলে তো খুবই ভালো কথা।

আর যদি না জানেন তবে চলুন আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তার বিস্তারিত জেনে নেই।

আমাদের মধ্যে অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য বহু জায়গায় গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করি।

অথচ আমরা যদি কিছু সহজ উপায় জেনে নেই তাহলে নিজেরাই আমাদের স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ দিয়ে একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারি।

আমরা ধারাবাহিকভাবে জানার চেষ্টা করবো লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে গেলে আমাদের কি করতে হবে?

তো আলোচনার শুরুতে জেনে নেই যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও  লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আসলে কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্স 

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এমন প্রশ্নের উত্তরে যদি সহজে বলার চেষ্টা করি তাহলে এটা হচ্ছে এক ধরনের অনুমতি পত্র।

মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী সড়কে এবং জনগণের ব্যবহার্য প্রায় প্রতিটি জায়গায় গাড়ি চালানোর জন্য এক ধরনের অনুমতি পত্র এর নামই হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় জানমালের নিরাপত্তার সুবিধার্থে মূলত ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। কোন দক্ষ চালক ছাড়া গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।

এজন্য পেশাদার কিংবা অপেশাদার দুই ক্যাটাগরীতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা হয়ে থাকে।

আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং নিজে নিজেই নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

আমরা আজকে BRTA ওয়েবসাইটের নারী নক্ষত্র ঘেটে একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শিখবো।

আরো পড়ুনঃ ই-পাসপোর্ট কি? ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম খরচসহ

উপরের আলোচনা থেকে আশা করছি আপনি ড্রাইভিং  লাইসেন্স কি এ বিষয়ে বিস্তার ধারণা পেয়েছেন।

এবার চলুন আমরা লার্নার তথা শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে জেনে আসি।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স 

আপনি যদি খুব সহজেই একটি ড্রাইভিং  লাইসেন্স পেতে চান তবে সবার আগে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

তার মানে হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা। কি বুঝতে পারছেন তো?

তাহলে চলুন কিভাবে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয় আমরা এ পর্যায়ে আলোচনা করি।

তবে তার আগে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে আমাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে একটু জেনে নিই।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য আপনাকে নিচের ডকুমেন্টগুলো রেডি রাখতে হবে। 

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট 

  • BRTA কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষানবিশ আবেদন ফরমে আবেদন। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র তথা এন আই ডি কিংবা জন্ম নিবন্ধন কপি অথবা পাসপোর্ট থাকলে তার সত্যায়িত  কপি। 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট যা অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডক্টর দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে। 
  • সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 
  • ক্যাটেগরি ১ এর জন্য নির্ধারিত ফি ৫১৮ টাকা ক্যাটেগরি ২ এর জন্য নির্ধারিত ফি ৫১৮ টাকা জমাদানের রশিদ। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বি আর টি এ এর নির্ধারিত ব্যাংক শাখায় টাকা জমা দিতে হবে বিস্তারিত বিআরটিএ এর ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন।

যদি না বুঝে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধুরা তাহলে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার পূর্বে যাচাই করে নিন যে উপরের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপনার প্রস্তুত আছে কিনা! এবার আবেদন প্রক্রিয়াটি দেখে নেয়া যাক 

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া 

প্রথমত বিআরটিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিচের চিত্রে একটু চোখ বুলিয়ে নিন।

লার্নার-ড্রাইভিং-লাইসেন্স

মেনু থেকে অনলাইন সেবা অপশনে চলে যান এখানে সাব মেনুতে দেখবেন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন এখানে ক্লিক মারুন।

আরো পড়ুনঃ API কি? উদাহরণসহ এপিআই এর প্রয়োজনীয়তা

দেখেন আপনাকে নিচের ঠিকানায়  নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে আপনাকে একটা সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে।

লার্নার-ড্রাইভিং-লাইসেন্স

ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এটা এক পলকের জন্য পড়ে নিবেন। নোটিশটা দেখতে অনেকটা নিচের মত। 

অথবা প্রয়োজন মনে না হলে ডান দিকে উপরে কর্নার থেকে ক্রস আইকনে ক্লিক করে এটাকে বন্ধ করে দিন। এবার স্ক্রোল ডাউন করা শুরু করে দিন।

একটু নিচে গিয়ে দেখুন… কি দেখতে পাচ্ছেন বলুন তো? পোর্টাল সেবা পেতে এখানে ক্লিক করুন।

লার্নার-ড্রাইভিং-লাইসেন্স

তাহলে আর কি করার এখানেই ক্লিক করুন। আপনার যদি পূর্বে কোন একাউন্ট করা থাকে তাহলে সেটাতে লগইন করে নিন।

আর যদি পূর্বের কোন একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে নতুন করে একাউন্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করে নিন। 

লার্নার-ড্রাইভিং-লাইসেন্স

অতঃপর রেজিস্টার করা হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন। এবার ধারাবাহিকভাবে আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করে দিন। প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আপলোড করুন।

সবশেষে সবগুলো বিষয় পুনরায় যাচাই করে সাবমিট করে দিন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এখন দুই থেকে আড়াই মাস অপেক্ষা করেন।

আরো পড়ুনঃ জুম স্কাইপ গুগল মিট এ স্ন্যাপ ক্যামেরা ফিল্টারের ব্যবহার

আপনাকে বি.আর.টি.এ-এর অফিস থেকে নোটিশ পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ছোট্ট করে একটা এক্সাম দিয়ে আসবেন। 

আমাদের শেষ কথা 

উপরে পোস্টে আমরা একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হবে তার পুরো প্রসেস দেখিয়েছি।

আপনি যদি এখনো না বুঝে থাকেন যে একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন কিভাবে করতে হবে তাহলে উপরের পোস্টটি পুনরায় পড়ে নিন।

পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেউ জানার সুযোগ করে দিবেন।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Author

Check Also

পেনড্রাইভ বুটেবল

পেনড্রাইভ বুটেবল করুন চোখের পলকেই!

একটি পেনড্রাইভ বুটেবল করা বর্তমান সময় খুবই সহজ একটি কাজ। গতানুগতিক একটি ডিভিডি ড্রাইভকে ব্যবহার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *