কিওয়ার্ড-মেটাডাটা

ফোকাস কিওয়ার্ড ও মেটাডাটা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • Post author:

হ্যালো ফ্রেন্ডস, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি মহামহিম আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভাল আছেন। আজকে আমরা ফোকাস কিওয়ার্ড ও মেটাডাটা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করবো। ওয়েবসাইট র‌্যাংকিং করানোর জন্য কেন আমাদের ফোকাস কিওয়ার্ড ও মেটাডাটার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সঙ্গে আছেন তো?

চলুন আমরা কাজের কথায় চলে আসি। তবে তার আগে কিওয়ার্ড সম্পর্কে দু-চার কথা না বললে কি হয় বলনু!

কিওয়ার্ড কি? (What is Keyword?)

আচ্ছা বলুন তো আপনি এই পোস্টটির সন্ধান কিভাবে পেলেন? হয় গুগলে গিয়ে সার্চ মেরেছেন নতুবা অন্য কোন পোস্টের লিংক ধরে এখানে চলে এসেছেন? কি আমি ঠিক বলছি তো? তাহলে আপনি যা লিখে গুগলে সার্চ দিয়েছিলেন তাই মূলত কিওয়ার্ড।

তার মানে আমরা যে শব্দগুলো লিখে গুগল মামা কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করি তাই মূলত কিওয়ার্ড। আশা করছি বুঝতে পারছেন। এখন চলুন ফোকাস কিওয়ার্ড বলতে আসলে কি বোঝাচ্ছে দেখে নিই।

ফোকাস কিওয়ার্ড কাকে বলে? (What is Called Focus Keyword?)

ইন্টারনেটে কিংবা বিভিন্ন ওয়েবপোর্টালে ব্যবহারকারিরা যে সকল শব্দ/শব্দসমষ্টি লিখে সার্চ করে থাকে তাকে/তাদেরকে মূলত ফোকাস কিওয়ার্ড বলে। যেমন ধরুন আপনি কোন ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে বাংলাদেশের সেরা টেক ব্লগ লিখে সার্চ দিলেন। এক্ষেত্রে এই শব্দগুলো হচ্ছে কিওয়ার্ড অর্থাৎ ফোকাস কিওয়ার্ড।

আরো পড়ুন: ব্যাংকলিংক কি এবং কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরী করবেন?

আবার ধরুন আপনি ইন্টারনেট কি এটা জানেন না, তাহলে আপনার ব্রাউজারে গিয়ে লিখলেন ইন্টারনেট কি? এটাও মূলত ফোকাস কিওয়ার্ড। অর্থাৎ, আমরা ব্রাউজারে যে শব্দ দিয়ে কিছু খুঁজে বের করি তাকেই ফোকাস কিওয়ার্ড বলে।

আচ্ছা বুঝলাম, তাহলে কিওয়ার্ড/ফোকাস কিওয়ার্ড আসলে কত প্রকার হতে পারে। এখন আমরা ফোকাস কিওয়ার্ড এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানবো।

ফোকাস কিওয়ার্ড কত প্রকার?

কিওয়ার্ডকে মূলত অনেকগুলো ভাগেই বিভক্ত করা হয়ে থাকে। তবে আমরা এখানে মূলত ফোকাস কিওয়ার্ড এর গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকার সম্পর্কে জেনে নিব।

লং টেইল কিওয়ার্ড (Long Tail Keyword)

সাধারণত কিওয়ার্ড কয়েক শব্দের সমষ্টি হতে পারে। যদি কিওয়ার্ড তিন (৩) শব্দের অধিক হয়ে থাকে তবে তকে লং টেইল কিওয়ার্ড বলে। এই কিওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম তুলনামূলক কম। তাই সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং এ বিশেষ গুরুত্ব রাখে।

অপরদিকে,

শর্ট টেইল কিওয়ার্ড (Short Tail Keyword)

তিন শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরণের কিওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম (Search Engine) অনেক বেশি তাই প্রতিযোগিতার মাত্রা ব্যাপক। তাই এই ধরণের কিওয়ার্ডকে গুগল কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং করানো অনেকটায় কষ্টকর।

কিওয়ার্ডের কোয়ালিটি কেমন হতে পারে?

যদি কোয়ালিটির কথা বলা হয় তবে আমরা দেখবো ফোকাস কিওয়ার্ড এর অনেকগুলো কোয়ালিটি রয়েছে। প্রধান কোয়ালিটিগুলো হচ্ছে-

Search Volume (সার্চ ভলিউম)

Word Counter (শব্দের সংখ্যা)

Competition (প্রতিযোগিতা)

Intend (প্রবণতা)

এবার বলুন তো ফোকাস কিওয়ার্ড কেন প্রয়োজন?

ফোকাস কিওয়ার্ড এর প্রয়োজনীয়তা

ফোকাস কিওয়ার্ড কেন প্রয়োজন? আমরা এখন দেখবো ফোকাস কিওয়ার্ড কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? আসলে আমরা যখন কোন কনটেন্ট লিখি তখন আমাদের প্রধান টার্গেট কি থাকে বলুন তো? নিশ্চয় সবার আগে আমাদের পেজগুলো যাতে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং করে আমরা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করি।

পোস্টের কোথায় কিভাবে এই কিওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে আমরা যদি না বুঝে থাকি তবে আমাদের ওয়েবসাইটকে র‌্যাংকিং করানো সম্ভব হবে না। সুতরাং এসইও ফ্রেন্ডলী ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য ফোকাস কিওয়ার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।

সুতরাং একটি ওয়েবসাইট কিংবা ওয়েব পেইজকে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং করানোর জন্য আমাদের মূলত ফোকাস কিওয়ার্ড এর প্রয়োজন। তবে সব থেকে মজার বিষয় কি জানেন? এই যে আমরা এই পোস্টে বারবার ফোকাস কিওয়ার্ড, ফোকাস কিওয়ার্ড বলে গুঞ্জন তুলেছি এই ফোকাস কিওয়ার্ডও কিন্তু এই পোস্টের একটি ফোকাস কিওয়ার্ড!

ফোকাস কিওয়ার্ড কিভাবে বের করবো?

এর জন্য আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণ রিচার্স করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ফ্রি টুল ব্যবহার করেও এই কাজটি করতে পারেন। তবে ভাল ফলাফলের জন্য পেইড টুলগুলো অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। ফোকাস কিওয়ার্ড নিয়ে আশা করছি আপনার আর কোন মাথা ব্যাথা নেই! এবার চলুন আমরা মেটাডাটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।

মেটাডাট কি? (What is Metadata?)

মেটাডাটা মূলত নিচের শব্দগুলোর সমষ্টিবদ্ধ নাম-

  • কি?
  • কেন?
  • কিভাবে?
  • কোথায়?
  • কখন?
  • কোনটি?

তারমানে আমরা যখন কোন পোস্ট পড়ে থাকি তখন তার আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে মাত্র কয়েকটি শব্দের আদলে ফুটে তোলাকে আমরা মেটাডাটা বলে থাকি। আমরা যখন কোন ব্রাউজারে গিয়ে কিছু লিখে সার্চ দেই তখন যে কথাগুলো আমরা ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে দেখতে পাই সেগুলোকে মূলত মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description) বলে।

আমরা সাধারণত ক্ষেত্রবিশেষে, মেটাডাটাকে তিনভাগে ভাগ করে থাকি। স্ট্রাকচারাল (গঠনগত), অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ (প্রশাশনিক) বা টেকনিক্যাল (কারিগরি) এবং ডেস্ক্রিপ্টিভ বা বর্ণনামূলক। আশা করছি মেটাডাটা কি ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন।

মেটাডাটার অসুবিধা কি?

এর অসুবিধার দিক তেমন নেই বললেই চলে। তবে আমরা যখন কিছু জানার জন্য গুগল কিং অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনের সরণাপন্ন হই তখন কিন্তু মেটাডাটা মাত্র কয়েকটি শব্দ কিংবা ২-৩ লাইনে পুরো বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আকারে চলে আসে।বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের আবার সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হয়।

এটা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর একটি বিষয়। যদি সরাসরি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেত তবে কতই না ভাল হতো!

পরিশেষে,

SEO অপ্টিমাইজ করে কোন ব্লগ পোস্ট না লিখলে আসলে সেটা গুগল বলুন আর ইয়াহু কিংবা বিং যে সার্চ ইঞ্জিনের কথায় বলেন না কেন আমদের ওয়েবসাইটকে র‌্যাংকিং করানো কিন্তু কখনই সম্ভব নয়। তাই কিওয়ার্ড এবং মেটাডাটার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

আশা করছি, ফোকাস কিওয়ার্ড ও মেটাডাটা নিয়ে আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। এর পরেও যদি আপনার কিছু জানার থাকে তবে কমেন্ট করতে ভুলবেন না কেমন! আল্লাহ্ হাফেজ।

Author

Leave a Reply