freelancing-job

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি? আপনি কোনটি করবেন?

  • Post author:

একটি মুক্তপেশা কে না ভালবাসে বলুন। ইচ্ছে করলেই কাজ করা যায় আবার ইচ্ছে করলেই বিরতি। এমন একটি বিষয়ই হচ্ছে এই মুক্তপেশা নামক ফ্রিল্যান্সিং। আজকে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি?

অবশ্য আমাদের এটা জানা অনেক প্রয়োজনীয়। কেননা এমন একটি বিষয় শিখলাম দীর্ঘ সময় ব্যয় করে। যার মার্কেট ভ্যালু খুবই কম।

তাহলে কিন্তু আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় কিন্তু আমরা নষ্ট করে ফেললাম। উপায় এবার ভাল একটি বিষয় খুঁজি।

না এমন করে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই। শুরতে বোঝেন নাই যে কোন একটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করেছেন। দুশ্চিন্তার কিছু নাই।

কেননা আপনি যে সেক্টরেই কাজ শেখেন না কেন প্রত্যেকটারই কিন্তু যথাযথ মূল্য আছে। প্রয়োজন পর্যাপ্ত স্কিল ডেভেলপ করা।

তো চলুন জানা যাক ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের বেশি চাহিদা দেখা যায়। প্রথমেই আমাদের কিন্তু জানা দরকার ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি?

ফ্রিল্যান্সিং কেন করবো?

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো এক নজরে দেখে নিবেন চলুন,

প্রথমেই আসি বর্তমান সময়ের ট্রাজেডি এন্ড ডিমান্ডেবল অনলাইন কাজ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথায়।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

এর মধ্যে রয়েছে,

  • অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং  (Affiliate Marketing)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (Search Engine Optimization)
  • ই-মেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing)
  • মোবাইল মার্কেটিং (Mobile Marketing)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)
  • পে পার ক্লিক (Pay Per Click)

এছাড়াও ভিডিও মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েঞ্চার মার্কেটিংসহ আরো অনেকগুলো ক্যাটেগরি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর।

 

২. কনটেন্ট মার্কেটিং

এর প্রধান প্রধান সেক্টরগুলো হচ্ছে,

  • টেকনিক্যাল এবং একাডেমিক রাইটিং (Technical & Academic Writing)
  • ব্লগ পোস্ট রাইটিং (Blog Post Writing)
  • পোস্ট কমেন্টিং (Post Commenting)
  • ই-বুক রাইটিং (E-book Writing)
  • কাভার লেটার রাইটিং (Cover Letter Writing)
  • কপিরাইটিং (Copywriting)
  • ক্রিয়েটিভ ও বিজনেস রাইটিং (Creative & Business Writing)

 

৩. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি। এর মার্কেটে যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি অফলাইনেও সমানভাবে চাহিদা লক্ষনীয়।

একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার প্রতি মাসে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা গড়ে আয় করে। আর ডেভেলপার কিন্তু আরো কয়েক গুন বেশি আয় করে থাকে।

 

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)

এর প্রধান সেক্টরগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণগুলো হলো,

  • ব্যানার এবং লগো ডিজাইন (Technical & Academic Writing)
  • মার্কেটিং এবং এডভার্টাইজিং (Blog Post Writing)
  • প্যাকেজিং ও মোশন গ্রাফিক্স (Post Commenting)
  • আর্ট ও ইলাস্ট্রেশন গ্রাফিক্স (E-book Writing)
  • ইউআই ডিজাইন (Cover Letter Writing)
  • পাবলিকেশন গ্রাফিক্স (Copywriting)

 

৫. প্রোগ্রামিং এবং টেকনোলজি (Programming & Technology)

এটা বলা হয়ে থাকে যার আছে প্রোগ্রামিং নলেজ সে তো অনলাইনের রাজা। যাই হউক এর মূল শাখাগুলো দেখি,

  • ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (Web & App Development)
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (Mobile App Development)
  • সাপোর্ট ও আইটি (Support & IT)
  • গেইম ডেভেলপমেন্ট (Game Development)
  • এনএফটি ডেভেলপমেন্ট (NFT- Non Fungible Development)
  • ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট (Copywriting)
  • ডেস্কটপ অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (Creative & Business Writing)

 

৬. ডাটা এন্ট্রি (Data Entry)

অনলাইন জগতে যত কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে সহজ একটি কাজ হচ্ছে এই ডাটা এন্ট্রি। অনেক সহজ কাজ হওয়ায় ডাটা এন্ট্রি নতুনদের জন্য সম্ভাবনাময় আয়ের একটি সেক্টর।

এই কাজটি আপনি কোন রকম কোর্স করা ছাড়ায় শিখতে পারেন। এখানে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার শিক্ষক কিন্তু গুগল, ইউটিউব।

আপনি ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে গুগল কিংবা ইউটিউবে লেখুন। দেখবেন আপনার কাঙ্খিত বিষয়টি চলে আসবে সামনে।

 

৭. অ্যাকাউন্টেট ও কনসাল্টেন্ট (Accountant & Consultant)

এর মধ্যে রয়েছে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটেগরী।

  • ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট (Financial Management)
  • ফিন্যান্সিয়াল কনসাল্টিং (Financial Consulting)
  • এনালাইসিস (Analysis)
  • এইচআর এডমিনিস্ট্রেশন (HR Administration)
  • বিজনেস এনালাইসিস (Business Analysis)
  • ট্যাক্স প্রিপারেশন (Tax Preparation)

তাহলে এতগুলো কাজের মধ্যে কোন কাজটি আমার জন্য বেটার হবে। কোন কাজের চাহিদা অনলাইনে বেশি?

 

চলুন জেনে নিই,

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি?

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা মাঝে মধ্যেই চিন্তা করি, আচ্ছা আমি তো অনলাইনে অনেক কাজ দেখি। তো এগুলোর মধ্যে কোন কাজটি আমার জন্য স্যুইটেবল হবে আর কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এ উপর্যৃুক্ত কাজগুলো প্রত্যেকটির চাহিদা অনেক বেশি। মার্কেটপ্লেসে এই কাজগুলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

তবে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি মূল্যবান। তবে কাজভেদে দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। যেমন, আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তবে এটি আপনার জন্য অনেক সহজ একটি কাজ হবে।

এর মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনাকে খুব বেশি পরিমাণ যে দক্ষ হতে হবে তা কিন্তু নয়। অল্প দক্ষতা দিয়েও আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি প্রোগ্রামিং শিখতে চান তখন কিন্তু নিজে থেকে পারবেন না। হয়তো খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে গুগল আর ইউটিউব দিয়েও শিখতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার লেভেল কিন্তু ডাউনগ্রেডে থাকবে। ডাউনগ্রেড বলতে বুঝাতে চাচ্ছি অনেক নিচে।

প্রোগ্রামিং মানে কোডিং। সুতরাং এটা আপনার সময়, ইচ্ছা আর মেধার উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি যদি কোন জব করেন। আপনার হাতে সময় দিনে মাত্র ২-৩ ঘন্টা।

এক্ষেত্রে আপনার জন্য ডাটা এন্ট্রি কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত সহজ কিছু কাজ নির্বাচন করতে হবে।

আর যদি আপনি দিনের বেশ কয়েক ঘন্টা সময় দিতে পারেন তবে প্রোগ্রামিং এ সময় দিতে পারেন। কেননা বর্তমান সময় সবগুলো আয়ের মাধ্যমের তুলনায়,

ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি।

 

আরো পড়তে পারেন,

চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং, ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটি গ্রহন করবেন?

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সেরা পদ্ধতি

Shopify (শপিফাই) কেন এত জনপ্রিয়?

 

কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক আয় করেন। কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন? আপনার ফ্রিল্যান্সিং করাটা কি ইচ্ছা নাকি শখ?

এ সকল বিষয় নির্ভর করবে একান্তই আপনার উপর। আপনি যদি কোন জব করে থাকেন তবে আপনার কিছু প্যাসিভ আয় এর প্রয়োজন হতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। মজার ব্যাপার হল আপনি পার্ট টাইম কিংবা ফুল টাইম দুইভাবেই করতে পারেন।

প্রথমত আপনি যদি কোন জব না করে থাকেন তবে ফুল টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। দ্বিতীয়ত আপনি কোন জব করলে পার্ট টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

 

আমি তো নতুন এগুলোর কোনটি বেটার অপশন হবে আমার জন্য?

একেবারে নতুন হিসেবে আপনার উচিত হবে প্রথমে প্রত্যেকটির বেসিক ধারণা লাভ করা। যখন বেসিক সম্পর্কে ধারণা আসবে তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সময় ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যয় করতে পারবেন।

তবে নতুন অবস্থায় কোন জটিল কাজের দিকে মন না দিয়ে বরং সহজ কাজ শুরু করুন। যেমন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত বিষয় নিয়ে রিচার্স করতে পারেন।

পর্যায়ক্রমে দক্ষতার সাথে সাথে যখন কিছু আয় আসা শুরু হবে তখন জটিল কাজগুলোর দিকে মন দিন।

সময়, ধৈর্য আর অর্থের দিকে খেয়াল রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

 

পরিশেষে,

এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে কিভাবে এবং কোন কাজে বেশি পরিমান অর্থ আয় করা যাবে।

তবে একটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হবে যথেষ্ট দক্ষতা আর পর্যাপ্ত ধৈর্য প্রয়োজন। একবার ব্যর্থ হলে হাল ছাড়বেন না, দুইবার ব্যর্থ হবেন হাল ছাড়বেন না।

এমনি করে বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরেই কিন্তু বিশ্বের বড় বড় ব্যক্তিগণ সফলতার মুখ দেখেছেন। তার মানে হচ্ছে, সফলতা কিন্তু এক দিনের ঠুনকো কোন বিষয় নয়।

এটা কোন ফল নয় যে ধরবেন আর পক করে খেয়ে নিবেন 😋

আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে জীবন ও প্রযুক্তির নতুন কোন আলোচনায়। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।

আল্লাহ্ হাফেজ।

 

 

Author

Leave a Reply