বাংলাদেশের সেরা ১০ প্রিন্টার - কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টার ভালো

বাংলাদেশের সেরা ১০ প্রিন্টার – কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টার ভালো

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা বাংলাদেশের সেরা ১০ প্রিন্টার নিয়ে আলোচনা করবো। সাথেই থাকুন আর আপনি যদি সেরা ১০ প্রিন্টার সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পড়ে নিন।

আধুনিক জীবনযাপনে আমাদের  অফিস আদালতে দিনদিন বিভিন্ন নথিপত্রের প্রয়োজন বেড়েই চলেছে।

যদিও প্রযুক্তির কল্যাণে নানান নথিপত্র ডিজিটাল ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হলেও সেগুলোর কাগজে ছাপা কপির (হার্ডকপি) প্রয়োজনীয়তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। 

তাই প্রতিনিয়তই আমাদের নানান দরকারি কাগজপত্র প্রিন্ট করতে হয়। আর এইসব নথিপত্র হাতের কাছে সহজেই ছাপানোর জন্য আমরা অনুভব করি একটি নিজস্ব প্রিন্টার।

কেননা তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটালাইজশনের কারণে আজকাল আমরা শুধু কম্পিউটার ল্যাপটপ নয় বরং হাতে থাকা মোবাইল থেকেও সহজে যেকোনো কিছু প্রিন্ট করতে পারি।

এই কারণে আমাদের যাদের প্রতিনিয়তই প্রিন্টারের প্রয়োজন হয় তাদের সেরা ১০ প্রিন্টার সম্পর্কে কিন্তু জানা উচিত।

অনেক ক্ষেত্রে তাদের একটি নিজস্ব প্রিন্টার থাকা আসলেই খুবই জরুরী। এতে করে তাদের প্রিন্টিং নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না।

কিন্তু জরুরী হলেও অনেকেরই প্রিন্টার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে প্রিন্টার কিনতে ভয় পান কিংবা ইচ্ছা থাকলেও কেনা হয় না।

একইসাথে অনেকেই আছেন প্রিন্টার কিনতে চাইছেন, কিন্তু দাম এবং প্রিন্টার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না কারণে এখনো শখের প্রিন্টার কিনতে পারেননি।

এছাড়াও অনেক ভাই চাইছেন ব্যবসা করার জন্য একটি প্রিন্টার কিনতে। কিন্তু অধিক দামের কারণে কিংবা উপযুক্ত প্রিন্টার সম্পর্কে না জানার কারণে এখনো প্রিন্টার কিনতে পারেননি।

আরো পড়ুনঃ ফটোকপি মেশিন কেনার আগে জেনে নিন (গোপন ট্রিকস)

তাদের জন্যই আজকে আমাদের এই আয়োজন-বাংলাদেশের সেরা ১০ টি প্রিন্টার। যা দামে, মানে এবং কাজেও সেরা।

তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রিন্টার কি কি।

পোস্ট সূচিপত্র

প্রিন্টার কি?

সেরা ১০টি প্রিন্টার সম্পর্কে জানার আগে আসুন জেনে নিই প্রিন্টার জিনিসটি কী। এরপর না হয় আমরা প্রিন্টারের প্রকারভেদ, প্রিন্টর কেন দরকার এবং সেরা ১০ প্রিন্টার সম্পর্কে জানবো।

প্রিন্টার হচ্ছে এমন এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস বা যন্ত্র, যার দ্বারা আমরা কম্পিউটার স্ক্রিনে যে আউটপুট দেখি বা প্রদর্শিত হয় সেইগুলো (হোক ছবি কিংবা লেখা) কাগজের  উপর ছাপাতে পারি।

যেকোনো ধরনের নথিপত্র যেমন টেক্সট বা লেখা, ছবি, প্রয়োজনীয়  ডকুমেন্ট ইত্যাদি আমরা খুব সহজেই অনায়াসে প্রিন্টারের মাধ্যমে কাগজের উপর ছাপাতে পারি।

কত প্রকার প্রিন্টার রয়েছে 

বর্তমান সর্বশেষ প্রযুক্তিতে ইঙ্কজেট, লেজার, থার্মাল, ডট ম্যাট্রিক্স এবং 3D প্রিন্টার সহ বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টার রয়েছে। 

কোন ধরনের প্রিন্টার সহজতর 

ইঙ্কজেট প্রিন্টার সাধারণত ব্যবহার করা খুবই সহজ। এগুলি যেকোনো  ব্যবহারকারীর জন্য ব্যবহার করা সহজ।

এবং এগুলো সেটআপ প্রক্রিয়া গুলোও খুব সহজ। যা যেকোনো নথি, ফটো এবং গ্রাফিক্স সহ বিভিন্ন কিছু ছাপানোর জন্য উপযুক্ত।

এছাড়াও ইঙ্কজেট প্রিন্টারগুলি প্রায়ই নিজস্ব ইন্টারফেস এবং সহজবোধ্য রক্ষণাবেক্ষণের কারণে যেকোনো ব্যবহারকারীই খুব সহজে রক্ষণাবেক্ষণে করতে পারে।

আর তাই  বাড়িতে কিংবা  ছোট খাটো অফিসে এই জাতীয় প্রিন্টার  ব্যবহারের জন্য খুবই জনপ্রিয়।

কোন প্রিন্টার নেওয়া উচিত? – প্রিন্টিং এর জন্য কোন প্রিন্টার ভালো

একজন ব্যবহারকারী কী ধরনের বা কেমন দামের প্রিন্টার কিনবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর কাজের ধরনের ওপর।

আপনি যদি রঙিন কোন ছবি কিংবা নথিপত্র প্রিন্ট করতে চান তবে আপনার জন্য সাদাকালো ইঙ্কজেট প্রিন্টারই কেনা যুক্তিযুক্ত হবে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্রান্ডের নানান মডেল অনুযায়ী ভিন্ন দামের  এইচপি, স্যামসাং, ক্যানন, ইপসন, ব্রাদার ইত্যাদি ব্র্যান্ডের প্রিন্টার পাওয়া যায়।

আমাদের দেশে অফিস বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজের জন্য লেজার প্রিন্টার খুব বেশী জনপ্রিয়।

এই প্রিন্টারের দ্বারা  পরিমাণে বেশি ও ভালো রঙে প্রিন্ট করা হয় বলে লেজার প্রিন্টারের ব্যবহার বেশী।

এছাড়াও অয়ারলেস প্রিন্টারের চাহিদা  এখন খুব বেশী। কেননা অফিসের যেকোনো স্থানে স্থাপন করা যায় বলে এতে ঝামেলা কম।

এ ক্ষেত্রে কেবল টানার কোনো  ঝামেলাই থাকে না। আর এই কারণে  সুবিধাজনক স্থানে ওয়াইফাই সক্ষম অয়ারলেস প্রিন্টার স্থাপন করে অন্যান্য ওয়াইফাই ডিভাইস থেকে সহজেই এতে প্রিন্ট অর্ডার দেওয়া যায়।

এছাড়াও নতুন নতুন আপডেটে ওয়াইফাই প্রিন্টারে রয়েছে বাড়তি মোবাইল প্রিন্টিং, এনএফসি সুবিধাও।

প্রিন্টার নেওয়ার আগে যা দেখতে হবে 

কেনার আগে আমাদের যাচাই করতে হবে যে, আমরা যে মডেলটি কিনতে চাইছি সেটি কতটুকু আমাদের জন্য উপযুক্ত।

প্রয়োজনে আপনি সেরা ১০ প্রিন্টার সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিয়েও কিন্তু অনেক নতুন তথ্য পেতে পারেন।

তার সম্পর্কে ঐ ব্রান্ডের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো। এছাড়াও  প্রিন্টারটিতে কী কী ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে, এর দ্বারা প্রতি মিনিটে কত পেইজ প্রিন্ট করা যায়।

নির্ধারিত একটি টোনার বা কালি দিয়ে নূন্যতম কত পৃষ্ঠা প্রিন্ট করা যাবে ইত্যাদি আগে থেকেই আমাদের জেনে জেনে নিতে হবে।

প্রিন্টার কেনার সময় ওয়ারেন্টি কার্ড, যাবতীয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন সিডি, পাওয়ার কর্ড, ইউএসবি কেবল, কার্টিজ বা টোনার ইত্যাদি নিজ দায়িত্বে বুঝে নিতে হবে। 

শুধু তাইনয় পরবর্তী সময়ে ওই প্রিন্টারের টোনার/কার্টিজ ইত্যাদি সব জায়গায় পাওয়া যাবে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা দামের বিবেচনায় প্রিন্টার কিনে নিলাম কিন্তু বাজারে ঐ প্রিন্টারের কার্টিজ বা টোনার পাওয়া গেলো না। তাহলে আমরা লোকসানে পড়ে যাবো।  

প্রিন্টার ভালো রাখাতে হলে করণীয় 

শুধু প্রিন্টার কিনলেই হবে না। আমাদের এর রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কেও যথেষ্ট সজাগ থাকতে হবে। তাই আসুন জেনে নিই কীভাবে প্রিন্টার ভালো রাখতে পারি।

সবসময়ই প্রিন্টিং কাজের জন্য উন্নতমানের কাগজ ব্যবহার করতে হবে। এতে প্রিন্টার ও হেড ভালো থাকবে।

চেষ্টা করতে হবে মাঝেমধ্যে প্রিন্টারের হেড পরিষ্কার করা। এতে করে কখ‌নো   নজেলে কালি জমবে না। 

চেষ্টা করতে হবে যাতে নূন্যতম সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও প্রিন্ট করা। যাতে সহজে কালি শুকিয়ে না যায়।

প্রিন্ট করার মাঝপথে কখনোই প্রিন্টার বন্ধ করা যাবে না। কখনোই সরাসরি প্লাগ খোলা যাবে না। প্রথমে পাওয়ার অফ করতে হবে।

পরে প্লাগ খুলতে হবে। তাড়াহুড়া করে প্রিন্ট করার কারণে অনেক সময় প্রিন্টে ভুল থাকলে তা পুনরায় প্রিন্ট করতে হয়।

এক্ষেত্রে প্রিন্ট করার আগেই প্রিভিউ থেকে আমাদের দেখে নেওয়া উচিত প্রিন্ট ঠিক আছে কিনা। 

যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে প্রিন্ট করার আগেই তা সংশোধন করা যাবে। কিছু কিছু প্রিন্টার রয়েছে যেগুলোতে কাগজের উভয় পিঠে প্রিন্ট করা যায়। এতে কাগজের সাশ্রয় হয়।

প্রিন্টারের কাগজ রাখার স্থানটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রিন্ট করার সময় মাঝপথে কাগজ আটকে গেলে তা উল্টো দিক দিয়ে টানাটানি করা যাবে না। 

কালি শেষ হয়ে আসার আগেই বা শেষ হওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়া মাত্রই তা বদলে ফেলতে হবে।  শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করলে প্রিন্টার হেড ও নজেলের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

সবসময়ই ভালো ব্র্যান্ডের কালি ব্যবহার করা উচিত। এই বিষয়টি সতর্কতার সহিত নিতে হবে। কেননা অনেক কালিতে সুক্ষ্ম ময়লা লেগে থাকে।

একইসাথে চেষ্টা করতে হবে টোনার বা কার্টিজ ও কাগজ সবসময়ই হাতের কাছে মজুদ রাখতে। যাতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাওয়া যায়। 

সেরা ১০ প্রিন্টার রিভিউ – ভালো মানের প্রিন্টার 

এইচ পি DeskJet 2722 All-in-One Wireless Color Printer

এইচ পি ডেক্সজেট 2722 অল-ইন-ওয়ান ওয়্যারলেস কালার প্রিন্টার হল একটি বাজেট-বান্ধব অসাধারণ একটি প্রিন্টার।

যা দিয়ে প্রিন্টিং, স্ক্যানিং এবং কপি করার মতো সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এতে রয়েছে  ওয়্যারলেস সংযোগ।

যা দিয়ে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে সহজে প্রিন্ট করার অনুমতি পাওয়া যায়। তবে এটা অতি দ্রুত না হলেও মানানসই গতিতে কাজ করে।

ছোটখাটো অফিস কিংবা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য এটি খুবই উপযুক্ত। এর মূল্য হচ্ছে ৭৫০০ টাকা। 

HP LaserJet Enterprise M612dn Printer 

HP LaserJet Enterprise M612dn প্রিন্টার হল একটি উচ্চ-কার্যক্ষমতা সম্পন্ন একরঙা লেজার প্রিন্টার।

যা মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং এন্টারপ্রাইজ কাজে  ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এই প্রিন্টার খুবই নির্ভরযোগ্য এবং এর কর্মক্ষমতাও ভালো। এই প্রিন্টারটি দ্রুত গতিতে মুদ্রণে সক্ষম।

একইসাথে রয়েছে  শক্তিশালী নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং বহুমুখী কাগজ পরিচালনার ক্ষমতা।প্রায়শই ডুপ্লেক্স প্রিন্টিং (ডাবল সাইডেড প্রিন্টিং), নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি, মোবাইল প্রিন্টিং অপশন এবং বিভিন্ন কাগজের মাপ এবং ধরন মিটমাট করার জন্য বিভিন্ন পেপার ট্রে বিকল্পের মত বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। 

এছাড়াও প্রিন্টারটি সংবেদনশীল তথ্য রক্ষা করতে পাসওয়ার্ড-ভিত্তিক প্রিন্টিং, সুরক্ষিত বুট এবং ডেটা এনক্রিপশনের মতো সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলিও রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি? প্যারালাল এবং সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বিস্তারিত!

API কি? উদাহরণসহ এপিআই এর প্রয়োজনীয়তা

সেরা ১০টি গেমিং পিসি – গেমিং এর জন্য সব থেকে ভালো পিসি কোনটি?

৩০ হাজার বাজেটের ল্যাপটপ (সেরা ব্র্যান্ড নির্বাচন)

এর দাম হচ্ছে ১৪৫০০০ টাকা। কি বাজেট বেশি মনে হচ্ছে? দেখুন যার মধ্যে এতগুলো ফিচার রয়েছে সেটি তো একটু দামিই হবে তাই নাহ্?

এইচ পি ডেক্সজেট 2320 All-in-One Printer

বাংলাদেশের সেরা ১০ প্রিন্টারের তালিকায় আমাদের এইচ পি ডেক্সজেট 2320 অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার হল একটি চতুর্মাত্রিক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রিন্টার।

যা বাসা বাড়িতে এবং ছোটখাটো অফিসে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে প্রিন্টিং,  স্ক্যানিং এবং ফটোকপিও করা যায়।

এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে খুব বেশি জায়গা না নিয়ে ছোট জায়গায় প্রিন্টার ফিট করা যায়। 

এছাড়াও এই প্রিন্টার রঙিন এবং সাদাকালো উভয়ই প্রিন্টই করা যায়। এতে প্রিন্টিং রেজোলিউশন এমন রাখা হয়েছে যাতে হাইক্লাস মডেলের সাথে এটা টেক্কা দিতে পারে।

এই কারণে এই প্রিন্টারে ডকুমেন্ট, হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্ট বা সাধারণ যাবতীয় গ্রাফিক্সের মতো দৈনন্দিন কাজগুলো খুব সহজেই করা যায়।  

এর সাথে রয়েছে ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার, যা ব্যবহারকারীদের সহজেই নথি, ফটো বা আর্টওয়ার্ক স্ক্যান এবং ডিজিটাইজ করতে সাহায্য করে। 

প্রিন্টারটি সাধারণত সেট আপ এবং ব্যবহার করার জন্য খুবই সহজবোধ্য এবং এটি বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এর দাম রাখা হয়েছে  ৭৫০০ টাকা। তার মানে আপনি মাত্র ৭৫০০ টাকায় এই প্রিন্টারটি পেয়ে যাবেন যে কোন প্রিন্টারের দোকান থেকে।

এইচ পি DeskJet 2722 All-in-One Wireless Color Printer 

এইচ পি ডেক্সজেট 2722 অল-ইন-ওয়ান ওয়্যারলেস কালার প্রিন্টারটিও একটি  বহুমুখী কাজের প্রিন্টার।

এর দ্বারাও আমরা  প্রিন্টের পাশাপাশি স্ক্যানিং এবং ফটোকপিও করতে পারি। এতে রয়েছে ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি।

এবং এই প্রিন্টারে যেকোনো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার থেকে কমান্ড দিয়ে প্রিন্ট  করা যায়।

এটিও একটি ছোটখাটো প্রিন্টার যা যেকোনো জায়গায় স্থাপন করা যায়। এর দামও অন্যান্য মডেলের তুলনায় খুবই আকর্ষণীয়।

এর দাম পড়বে আনুমানিক  ৮০০০ টাকা।

কম দামের প্রিন্টার 

HP ইঙ্কজেট D2132 অল ইন ওয়ান প্রিন্টার

এই প্রিন্টারটি খুবই কম দামে আমরা পাবো। সেরা ১০ প্রিন্টার হিসেবে অল্প বাজেটের প্রিন্টার হওয়ার এর দ্বারা আমরা সহজে ফটোকপি এবং স্ক্যানিং করতে পারব। কিন্তু এর  কনফিগারেশন এত ভাল নয়।

এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা  A4, A6, B5 এবং DL খাম ইত্যাদি প্রিন্ট হয়। এর রেজোলিউশন: 1200 × 1200dpi এতে  ইউএসবি সংযোগ রয়েছে।

প্রিন্টারটির গতি 20ppm এবং এর দাম হচ্ছে মাত্র ৩৪০০ টাকা। যারা অল্প বাজেটের প্রিন্টার খুঁজছেন তাদের জন্য এটি সেরা।

Canon Pixma iP2870 হাই-স্পীড USB 8 IPM কালার ইঙ্কজেট প্রিন্টার 

বাসা বাড়িতে সাধারণ ইউজের জন্য এটি সত্যিই ভাল। এটি রঙিন ছবিতে একটি 2pl কালি ফোঁটা এবং 4800×600dpi রেজোলিউশন দিয়ে থাকে। 

সাধারণ প্রিন্টের জন্য, এটি ব্যবহার করা যথেষ্ট ভাল। এর সাহায্য A4, A5, B5, LGL, LTR, খাম, 5×7″, 4×6″ এবং কাস্টম আকারে যেকোনো প্রিন্ট নেওয়া যাবে।

এর রেজোলিউশন 4800×600dpi, এর ইউএসবি সংযোগ রয়েছে। এর প্রিন্টার গতি ৮। এর  মূল্য আনুমানিক ২৩০০ টাকা। তবে এটির একটি সমস্যা রয়েছে। আর তা হলো এর গতি একেবারেই ধীর।

এইচ পি ডেক্সজেট 3600 অল ইন ওয়ান হাই-স্পীড ইঙ্ক ট্যাঙ্ক কালার প্রিন্টার

প্রিন্টিংয়ের পাশাপাশি এইচপি ব্র্যান্ডের এই প্রিন্টারটিতে রয়েছে ফটোকপি করার সুবিধা। এর প্রিন্টিং গতি ২০ পিপিএম এবং এর 1200 × 1200 ডিপিআই রেজোলিউশন রয়েছে।

এছাড়াও এটি যেকোনো  আকারের পৃষ্ঠার প্রিন্ট করতে পারে। তবে এতে ওয়্যারলেস সংযোগ নেই। তবে এটিতে একটি হাই-স্পিড ইউএসবি কেবল রয়েছে।

ফলে প্রিন্টিং গতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।এর মূল্য ৬২০০ টাকা। 

Canon Pixma MP287 মাল্টিফাংশন কালার প্রিন্টার 

এই প্রিন্টারটি যে কোনও জায়গায় ব্যবহার করা যায়। কারণ এটি একটি ওয়ারলেস প্রিন্টার। এতে  প্রিন্টিং সহ ফটোকপি এবং স্ক্যান করার সুবিধা রয়েছে।

এটি যেকোনো আকারের পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে। এর রেজোলিউশন হচ্ছে 4800 × 1200dpi

একইসাথে এতে USB 2.0 সংযোগ রয়েছে। যার প্রিন্টার গতি: 8.4 আইপিএম। এবং এর মূল্য  ৭১০০ টাকা। 

Canon ImageCLASS LBP6030W লেজার প্রিন্টার 

এই প্রিন্টারটির সবচেয়ে বেশী সুবিধা হলো   কম কালি দিয়ে বেশী আউটপুট হওয়া। এটিতে ওয়্যারলেস সংযোগ সুবিধা রয়েছে।

এই কারণে এটিকে যেকোনো স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করে কিছু মুদ্রণ করতে সক্ষম। এটি একটি শক্তি-সঞ্চয়কারী প্রিন্টার যা প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে।

এর মূল্য মাত্র ৮৫০০ টাকা। অল্প বাজেটের মধ্যে এটিও কিন্তু সেরা একটি প্রিন্টার হতে পারে আপনার জন্য।

এইচ পি ডেক্সজেট Ink Advantage 4675 All in One Printer 

এই প্রিন্টারটিও সামান্য কালি দিয়ে ভালো সার্ভিস দিতে খুবই কার্যকর। এই প্রিন্টারটিকে  ওয়াইফাই এবং ইউএসবি উভয়ের মাধ্যমেই সংযুক্ত করা যায়।

আরো পড়ুনঃ পিসির জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার (বেস্ট পিসি সফটওয়্যার)

এ ছাড়া এর কার্টিজের দামও সব মিলিয়ে সস্তা। এর মূল্য ১০০০০ টাকা।

শেষ কথা

প্রিন্টার কেনার পূর্বে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হবে ইমেজ কোয়ালিটি এবং স্পিডের উপর।

একইসাথে যতটা সম্ভব কম রং খরচে প্রিন্ট করা যায় এমন প্রিন্টার কেনা উচিত। উপরের উল্লিখিত প্রিন্টার ছাড়াও বাজারে আরো অনেক নানান ব্রান্ডের বিভিন্ন প্রিন্টার রয়েছে।

তবে আমরা এখানে বাছাইকৃত সেরা কিছু প্রিন্টার আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আপনারা এর থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো প্রিন্টার কিনতে পারবেন। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।

বাংলাদেশের সেরা ১০ প্রিন্টার সম্পর্কিত পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। সেই সাথে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।

আপনাদের সকলের সু-স্বাস্থ্য কামণা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Author

  • সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

    আমি সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী, জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলাম। প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলাম লিখেছি। প্রবাসের সেই চাকচিক্যের মায়া ত্যাগ করে মানুষের ভালোবাসার টানে দেশে এখন স্থায়ী বসবাস। বর্তমানে বেসরকারি চাকুরিজীবী। আমার ভালোলাগে বই পড়তে এবং পরিবারকে সময় দিতে এবং আমি নিত্যটিউনে নিয়মিত লিখে যেতে চাই...

Leave a Reply